শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি:ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে প্রকাশ্য এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়েছে শাহ আলম নামের এক এএসআই। ওই নির্যাতনের চিত্র রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলের জোর দাবির মুখে ওই রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভোলা সদর থানার এএসআই শাহ আলম উত্তেজিত অবস্থায় এক যুবককে প্রকাশ্যে মারধরের এক পর্যায়ে রাস্তায় ফেলে পাড়াচ্ছেন।
পুলিশের নির্যাতনের শিকার ওই যুবক বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আওলাদ হোসেন। নির্যাতনের শিকার আওলাদা জানান, রোববার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে মটরসাইকেলে করে ভোলা শহরে আসেন। এসময় সদরের বাংলা স্কুল মোড়ে পুলিশ তাদেরকে গতিরোধ করে গাড়ীর কাগজপত্র যাচাই করে।
তারা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়। একটু সামনে আসলে গঙ্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সুজনের মোটর সাইকেল আটক করে পুলিশ।
এ সময় সহায়তার জন্য সুজন আওলাদকে ডাক দেন। আওলাদা এগিয়ে এসে সুজনের মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে এ এসআই শাহে আলম তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এর এক পর্যায়ে আওলাদকে মারধরের করে রাস্তায় ফেলে বুট দিয়ে লাথি দিতে দেখা যায় এ এস আই শাহ আলমকে।
সেখান থেকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে পকেটে গাঁজা দিয়ে নাজেহাল করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন আওলাদ। এছাড়া থানায় নিয়েও তাকে নির্যাতন করা হয়।
এদিকে থানায় বসে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা হলেও পথচারীদের ভিডিও করা ফুটেজ ফেইজবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ কর্মকর্তা সহ সমাজের বিভিন্ন জনের।
প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এবিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন জানান, রোববার রাতেই তাকে পুলিশ লাইলে ক্লোজ করা হয় এবং সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply